মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী,
হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর-সদর এলাকায় ভেজাল ঘির রমরমা ব্যবসা চলছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ভেজাল ঘি ছড়িয়ে গেছে সবখানে।
ডালডা, সয়াবিন বা পাম অয়েলের সঙ্গে সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরি এসব নিম্নমানের ঘি বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
ভেজাল নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারক না করায় নকল ঘিয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে বলে ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন।
হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরীহাট, ফতেয়াবাদ এলাকায় ত্রি-স্টার নামে একটি ভেজাল ঘি কারখানা রয়েছে। একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র ভেজাল ঘি গুলো তৈরি করে চট্টগ্রামসহ হাটহাজারী ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করছে। মুরাদ,নেতৃত্বে ওই চক্রের একাধিক সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বাজারে প্রচলিত যেসব ঘি পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই ভালোমানের নয়। এসব ঘির সঙ্গে বাটার কিংবা ডালডা মেশানো হয়। ঘি তৈরির সময় মাখন আগুনে জ্বাল দেয়ার পর যে অংশ উপরে ভেসে ওঠে, তা ঘি হিসেবে আলাদা করে রাখা হয়। এক্ষেত্রে পরে হাঁড়ির নিচে পড়ে থাকা অংশ বা ছাকড়া অনেকটা ঘিয়ের মতো গন্ধ ছড়ায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা ওই ছাকড়ার সঙ্গে সয়াবিন বা বাটার অয়েল মিশিয়ে আবার তা জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করে বাজারজাত করেন। প্রতিটা বিবাহ্ অনুষ্টানে বেশি কমিশনের উপর বিক্রি হয় ত্রি-স্টার নামে ওই ভেজাল ঘি’টি উপজেলার প্রতিটা বাজারের পায়কারী খুচরা দোকান গুলোতে এ সব ঘি বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া বাজারে আরো বহু ভেজাল ঘি বিক্রি হচ্ছে। বাবুচিকে চুক্তি করে এ সব ভেজাল ঘি বিক্রি করা হয়। তবে সব চেয়ে কমিশনর বেশি ত্রি-স্টার ঘি। সাধারন মানুষ বলছেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানো হয়। রহস্যজনক কারণে পরর্বীতে আরো কোন ধরনের অভিজান হয় না। থাকে না সংশ্লিষ্টদের নজরদারি। আর নজরদারির অভাবে খাদ্যে অধিকহারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।